Police Apps “Hello CT”

 

“Hello CT” ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের Counter Terrorism Unit  কে তথ্য প্রদান সংক্রান্ত একটি এপ্লিকেশন জঙ্গীবাদ/উগ্রবাদ, সাইবার ক্রাইম, বোমা/ বিস্ফোরক/ অস্ত্র/মাদক, আন্তঃদেশীয়  অপরাধ/ জালিয়াতি,মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তি সর্ম্পকে নিজের পরিচয় গোপন রেখে “Hello CT” অ্যাপ্ এর মাধ্যমে পুলিশকে তথ্যাদি প্রেরণ করতে পারবেন। এ মুহুর্তে Android Mobile Phone  ব্যবহারকারী “Hello CT” অ্যাপটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে খুব শীঘ্রই iphone ও Windows মোবাইল ব্যবহারকারীগণও অ্যাপটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।

Android Mobile Phone ব্যবহারকারী নিম্নক্তভাবে অ্যাপটি Free Download করবেন-

“Google play Store  ” – Search – “ Hello CT ”- Download/Install

Hello CT Android App

    Hello CT Android App QR Code

 

ব্যবহার নির্দেশিকাঃ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অধীন কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিটের মোবাইল এপ্লিকেশন “রিপোর্ট ক্রাইম” আপনাকে স্বাগতম। এপ্লিকেশনটির বিস্তারিত ব্যবহার নির্দেশিকার জন্য স্ক্রল করুন। মোবাইল এপ্লিকেশনটি হোম পেইজে আপনি ৬টি মূল বাটন দেখতে পাবেন। যেগুলো হলো-জঙ্গিবাদ/ উগ্রবাদ,সাইবার ক্রাইম, বোমা/ বিস্ফোরক/ অস্ত্র/মাদক, আন্তঃদেশীয়  অপরাধ/ জালিয়াতি,মোস্ট ওয়ান্টেড এবং  আমাদের সর্ম্পকে।

জঙ্গীবাদ/ উগ্রবাদঃ
আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া কিংবা আপনার স্মরণে থাকা কিংবা আপনার পরিচিত যে কারো থেকে জানতে পাওয়া জঙ্গীবাদ/ উগ্রবাদ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য আপনি এখানে দিতে পারেন। উদাহরণস্বরুপ আপনি লিখতে পারেন: “মনে হচ্ছে আমাদের বাড়ীতে কিছু জঙ্গী থাকে……………….”।

সাইবার ক্রাইমঃ
আপনার বা আপনার পরিচিত যে কারো ফেসবুক/ ই-মেইল/টুইটার/ লিঙ্কড-ইন/ অন্যান্য যে কোন সোসাল সাইট হ্যাক কিংবা আপনার প্রোফাইল এর ছবি ব্যবহার করে কেউ কোন ভুয়া একাউন্ট তৈরী করে থাকলে কিংবা আপনার ছবি বা ব্যক্তিগত তথ্য বিনা অনুমতিতে চেনা/ আচেনা কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে কেউ অন্যত্র ব্যবহার করে থাকলে ইত্যাদি নানাবিধ অনলাইন সংক্রান্ত তথ্য আপনি আমাদের দিতে পারেন। উদাহরণ স্বরুপ আপনি লিখতে পারেন: “ আমার ফেসবুক  হ্যাক হয়েছে। গতকাল থেকে লগ-ইন করতে পারছিনা। আমার একাউন্টের লিঙ্ক:………………”

বোমা/ বিস্ফোরক/ অস্ত্র/মাদকঃ
আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া কিংবা সন্দেহভাজন যে কোন প্রকার দেশী/ বিদেশী অস্ত্র, মাদক,বোমা এবং বিস্ফোরক সংক্রান্ত তথ্য আপনি আমাদের দিতে পারেন। উদাহরণ স্বরুপ আপনি লিখতে পারেন: “আমাদের সামনে বাসায় বোম্ব তৈরী করা হয়……।”

আন্তঃ দেশীয় অপরাধ/ জালিয়াতিঃ
আপনার কিংবা আপনার কোন আত্মীয়/ বন্ধু-বান্ধব কিংবা পরিচিত যে কারো ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড জালিয়াতি, অনলাইন ব্যাংকিং জালিয়াতি, বিকাশ/ ইউক্যাশ ইত্যাদি জালিয়াতির যে কোন সংবাদ কিংবা আপনার অনুমানকৃত কিংবা জানা শোনা কেউ যদি মানব পাচার, অর্থ পাচার, জঙ্গীর অর্থায়ন ইত্যাদি অপরাধের সাথে জড়িত থাকে তবে সে সকল তথ্যও আপনি আমাদের দিতে পারেন। উদাহরণ স্বরুপ আপনি লিখতে পারেন:“ আমার ক্রেডিট কার্ড নম্বর ০০০০-০০০০-০০০০০ এটি আমার কাছেই আছে কিন্তু অনবরত এতে ট্র্যাঞ্জেকশন হচ্ছে আর আমার কাছে এসএমএস আসছে……….।”

 

Screenshot_20160731-014704 (1)মোস্ট ওয়ান্টেড:
আপনার কিংবা আপনার কোন আত্মীয়/ বন্ধু-বান্ধব কিংবা পরিচিত কেউ যদি এমন কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সন্ধান জেনে থাকেন যাদের পুলিশ কিংবা আইন প্রণয়নকারী সংস্থা দীর্ঘ দিন ধরে খুঁজছে, তবে সেটিও আমাদের জানাতে পারেন। উদাহরণ স্বরুপ আপনি লিখতে পারেন:“ আজকে আনুমানিক দুপুর ০৩.০০টায় মৌচাক মার্কেটে শীর্ষ সন্ত্রাসী ক-খ-ঘ কে দেখেছি…………….।”

 

আমাদের সস্পর্কে:
এই অংশে  আপনারা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিট এর সূচনা, এর বিভিন্ন দিক এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে পারবেন। জানতে পারবেন এই এপ্লিকেশনটি তৈরীর মূল উদ্দেশ্যে, কে এটি তৈরী করেছে ইত্যাদি নানাবিধ গুরুত্বপূর্ন তথ্য।

 

কিভাবে এপ্লিকেশনটি ব্যবহার করবেনঃ

এপ্লিকেশনটির হোম পেইজে থাকা ৫(পাঁচ)টি বাটনে ক্লিক করে আপনি বিভিন্ন প্রকার গুরুত্বপূর্ন তথ্য আমাদের দিতে পারছেন। এই ৫ (পাঁচ)টি বাটনের সবকটিতে ক্লিক করলেই আপনি দুইটি ভিন্ন ট্যাবে দুইটি ভিন্ন ফরম পাবেন যেগুলো হলোঃ “নতুন তথ্য” এবং তথ্য সংযোজন”।

নতুন তথ্যঃ

নতুন তথ্য ফরমে আপনি শুরুতেই পাবেন“অপরাধের তথ্য” নামক একটি টেক্সট বক্স। এটি পূরণ করা বাধ্যতামূলক। আপনার কাছে থাকা ছোট/বড় নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনি এই বক্সে লিখতে পারবেন। আপনার তথ্য যত বড় কিংবা যত ছোটই হোক না কেন সেটি আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন।

এর পরেই আপনি পাবেন“অপরাধের ঘটনাস্থল” নামক একটি ড্রপ-ডাউন মেনুবার।
অপরাধের ঘটনাস্থলঃ

এখানে আপনি ৩(তিন)টি অপশন পাবেনঃ মহানগর এলাকা/জেলা/বাংলাদেশের বাইরে। এই ৩ (তিন) টির মধ্য থেকে আপনাকে আপনার কাক্সিক্ষত ঘটনাস্থলটি নির্বাচন করতে হবে। আপনার দেয়া তথ্যটি যদি কোন মেট্রোপলিটন এলাকায় হয়ে থাকে তবে আপনি নির্বাচন করবেন “মহানগর এলাকা”। আবার, আপনার দেয়া তথ্যটি যদি হয়ে থাকে বাংলাদেশের কোন একটি জেলার, তবে আপনি “জেলা” নির্বাচন করবেন। অপরদিকে, আপনার তথ্যটি যদি দেশের বাইরের কোন স্থানে ঘটে যাওয়া তথ্য হয়ে থাকে তবে “বাংলাদেশের বাইরে” নির্বাচন করতে হবে। আপনি যদি অপরাধের ঘটনাস্থলে মহানগর এলাকা” নির্বাচন করে থাকেন, তবে ঠিক তার নিচেই আপনি “মহানগরের নাম” লেখা অপর একটি ড্রপ-ডাউন মেনুবার পাবেন যেখানে থেকে আপনি আপনার কাক্সিক্ষত মহানগরের নাম নির্বাচন করতে পারবেন। অতঃপর তার নিচে অবস্থিত অপর একটি ড্রপ-ডাউন মেনুবার থেকে সংশ্লিষ্ট মহানগরের যেই থানার অধীনে ঘটনাটি ঘটেছে সেই থানার নামটি আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। অনুরুপভাবে, মহানগরের স্থানে যদি আপনার তথ্যটি কোন জেলার অভ্যন্তরে হয়ে থাকে তবে আপনি অপরাধের থানার আবনে ঘটনাটি ঘটেছে যেই থানার নামটি আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। অনুরুপভাবে, মহানগরের স্থানে যদি আপনার তথ্যটি কোন জেলার অভ্যন্তরে হয়ে থাকে তবে আপনি অপরাধের ঘটনাস্থলে “জেলা” নির্বাচন করবেন এবং তার নিচে “জেলার নাম” নামক ড্রপ-ডাউন মেনুবার থেকে আপনার তথ্য সংক্রান্ত জেলার নাম নির্বাচন করবেন এবং সবশেষে “থানার নাম” নামক ড্রপ-ডাউন মেনুবার থেকে সংশ্লিষ্ট থানার নামটি নির্বাচন করতে হবে। আর, আপনার দেয়া তথ্যটি যদি  দেশের বাইরের, তবে “অপরাধের ঘটনাস্থল” এ “বাংলাদেশের বাইরে ” নির্বাচন করতে হবে এবং এর নিচেই তখন একটি টেক্সট বক্স আসবে যেখানে সেই দেশের নামটি টাইপ করতে হবে আপনাকে।

অপরাধের ঘটনাস্থল এর পরেই আরেকটি অংশ পাওয়া যাবে যেটি হলো “তথ্য দাতার পরিচয়”।

তথ্য দাতার পরিচয়ঃ
তথ্য দাতার পরিচয় নিঃসন্দেহে গোপন রাখা হবে এবং এটি পূরণ করা বাধ্যতামূলক নয়। এটি তথ্য দাতার সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক একটি বিষয়। তবে কেউ যদি তার তথ্য দিতে চায় তবে এই অংশে থাকা ২(দুই) টি টেক্সট বক্স যথাক্রমে ফোন নম্বর ও ঠিকানা পূরণ করতে হবে।Screenshot_20160731-015418

সবশেষে পাওয়া যাবে “তথ্য সংক্রান্ত কোন ছবি, ভিডিও বা অডিও থাকলে সংযুক্ত করুন (যদি থাকে)” নামক অংশ। প্রদত্ত তথ্য সংক্রান্ত কোন ছবি, ভিডিও বা অডিও থাকলে সংযুক্ত করুন (যদি থাকে)
আপনি যে তথ্য প্রদান করছেন সেই তথ্য সংক্রান্ত যদি কোন অডিও/ভিডিও বা ছবি আপনার কাছে থেকে থাকে তবে সেটি আপনি এই অংশে সংযুক্ত করতে পারেন। তবে, সংযুক্ত করার মত কিছু না থাকলেও কোন সমস্যা হবে না। অতঃপর আপনার পূরণকৃত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি আমাদের নিকট পৌছানোর জন্য “SUBMIT” বাটনে ক্লিক করতে পারেন। অথবা তথ্যটি আমাদের নিকট প্রেরণ না করে মুছে ফেলতে চাইলে “CANCEL” বাটনে ক্লিক করতে পারেন।

“SUBMIT” বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনি একটি বার্তা পাবেন “আপনার তথ্যটি সঠিকভাবে জমা হয়েছে। প্রস্তাবিত তথ্যের আইডি নম্বর ০০০০০০। পরবর্তী সময়ে তথ্যটি সংশোধন কিংবা পুনরায় সংযোজন করতে আইডি টি সংরক্ষণ করুন।”

এই বার্তা থেকে প্রাপ্ত “তথ্য আইডি” টি আপনি সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। তাহলে ভবিষ্যতে এই তথ্য সংক্রান্ত কোন নতুন খবর আমাদের নিকট পৌছাতে হলে আপনার কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।

“নতুন তথ্য” নামক ট্যাব এর কার্যপ্রণালী এখানেই শেষ। এবার যদি আপনি আপনার প্রদানকৃত কোন তথ্য সংযোজন কিংবা সংশোধন করতে চান তবে আপনাকে যেতে হবে “তথ্য সংযোজন” নামক ট্যাব।

 

তথ্য সংযোজন
এই ট্যাব এর শুরুতেই আপনি দেখতে পাবেন “তথ্য আইডি নম্বর” নামক একটি সার্চ বক্স। এখানে আপনার পূর্বে প্রদানকৃত তথ্য যেটি আপনি সংযোজন কিংবা সংশোধন করতে চান সেটির আইডি নম্বর লিখতে হবে। এরপর সার্চ বাটনে ক্লিক করলে আপনি আপনার পূরণকৃত ফরমটি পেয়ে যাবেন এবং সেখানে আপনার সেই তথ্য সংযোজন কিংবা সংশোধন করতে চান, সেগুলো করে নিয়ে আবার “SUBMIT” বাটনে ক্লিক করলে আপনার পূর্বের তথ্যের সাথে বর্তমানে প্রদত্ত তথ্যটি সংযোজিত কিংবা সংশোধিত হয়ে যাবে। তথ্য সংযোজন করার পর আপনি একটি বার্তা পাবেন। “আপনার তথ্যটি সঠিকভাবে জমা হয়েছে। প্রস্তাবিত তথ্যের আইডি নম্বর ০০০০০০। পরবর্তী সময়ে তথ্যটি সংশোধন কিংবা পুনরায় সংযোজন করতে আইডি টি সংরক্ষণ করুন।” মনে রাখবেন, তথ্য আইডি নম্বর একই থাকবে, শুধুমাত্র তথ্যটি পরিবর্তন হয়ে যাবে। আপনি চাইলে একই তথ্য আইডি একাধিকবার সংযোজন কিংবা সংশোধন করতে পারেন।

 

ইউনিট পরিচিতি
সাম্প্রতিক জঙ্গীবাদ ও সহিংস সন্ত্রাসী কার্যক্রম একটি বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এ সমস্যা হতে উত্তরণের লক্ষ্যে একটি তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে পুলিশের একটি কেন্দ্রিয় এবং বিশেষায়িত জঙ্গীবাদ নিরোধকারী ইউনিটের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। এ প্রেক্ষাপটে জঙ্গীবাদ সংক্রান্ত মামলা তদন্ত, গ্রেফতার, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, জঙ্গীবাদ বা উগ্রবাদ সংক্রান্ত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণসহ সার্বিকভাবে জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অধীনে কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম নামক একটি বিশেষায়িত ইউনিট যাত্রা শুরু করেছে।

 

এ ইউনিট যেসব অপরাধ দমনে কাজ করবে-

  • জঙ্গীবাদ ও উগ্রবাদ
  • সাইবার ক্রাইম ও সাইবার পেট্রোলিং
  • অস্ত্র, বিস্ফোরক, গোলাবারুদ ও মাদক
  • সংঘবদ্ধ ও আন্তঃ দেশীয় অপরাধ

কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটটি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অধীনে গঠিত যেকোন স্থানের অপরাধ দমন এবং জঙ্গী কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে অন্যান্য ইউনিট গুলোকেও সহযোগিতা করবে।

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ
কারিগরি সহায়তায়
ডিজিকন টেকনোলজিস লিমিটেড

 

Comments are closed.